এই ব্লগটি সন্ধান করুন

About This Blog


Waiting for you

বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৩

এখনো ভুলিনি তোমাই আমার জানু……………………………part-1



পৃথীবিতে একেক মানুষের কস্ট একেক রকম।আমার কস্ট যে কি রকম তা আমি নিজেও ভালভাবে বলতে পারবনা।কিন্তু এই কস্ট আমার জীবনটাকে কিছুদিনের জন্য হলেও এলোমেলো করে দিয়েছিল।আর যে ব্যথা এখনো আমার বুকে রয়ে গেছে যা এখনো বুকের মধ্যে বাজে

আমি আমার বিশাল কাহিনি যদিও মাত্র মাস -৮এর,তারপরেও বিশাল কাহিনি।যদি পুরা কাহিনিটা বলতে যাই আপনারা পরার দরয হবে না।
তাই এই বিশাল কাহিনিটা সঙ্খেপে তুলে ধরলাম


আমি বিবিএ তে ভর্তি হইছিলাম বাংলাদেশ বিশবিদ্দালয়ে।বাড়ি থেকে একটা বিশেষ সমস্যা এর জন্য বগুড়া শহরের একটা প্রতিষ্ঠানে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে ভর্তি হলাম।এখানে আসার পর বগুড়া শহরে একটা মেসে উটলাম।আমার প্রিয় একটা কাজ হচ্ছে সাদে আড্ডা দেওয়া।আমি যেই মেসে উটলাম তার আসেপাশে শুধু ফ্যমিলি বাসা।প্রথম বেশ কিছুদিন আসেপাশে তেমন খেয়াল করি নাই।কয়েকদিন পর থেকে আশেপাশে ভালভাবে দেখা শুরু করলাম।বেশ ভালই কয়েকটা মেয়ে আছে এই খানে,আর তারা সবাই বিকেলে ছাদে আসে

আমি প্রতিদিন সাধারনত দেরি করে ঘুম থেকে উঠি।তো প্রতিদিনের মত সেদিনো ঘুম থেকে দেরিতে উঠলাম।প্রতিদিন ব্রাশ, বাথরুম  করলেও আজ ছাদে উঠতে ইচ্ছা করল।তাই ব্রাশ হাতে নিয়ে সিরি দিয়ে উটতেছি এমন সময় চোখ গেল পুর্ব উত্তর দিকের এক বাসার বেল্কনির খোলা দরজা দিয়া দেখলাম এক মা তার মেয়েকে ভাত খাইয়ে দিচ্ছে।এই দৃশ্য দেখে আমার মায়ের কথা মনে পরল।আর মেয়েটাকে এবং তার আম্মুকে অন্নেক ভাল লাগলো এইজন্য তাদের দিকে তাকাইয়া রইলাম।আন্টির খাওয়াইইয়া দেওয়া শেষ হলে উনি রুমে চলে গেলেন।মেয়েটা এতক্ষন আমাকে লক্ষ করতে ছিল।এবার সে বারান্দাতে এসে আমার দিকে ভালোভাবে তাকালো।আমি কিছুটা লজ্জা পেলাম তাই ছাদে না উঠে নিচের দিকে নেমে আস্লাম।সেদিন আর ক্লাস  যাওয়া হল না।সারাদিন শুধু অই খাওয়াইয়া দেওয়ার কথা টুকুই মনে হতে লাগল।বিকেলে সব বন্ধু ক্রিকেট খেলা ছিল তাই সবাই চলে গেল।আমাকে যাইতে বলার পরও আমি থেকে গেলাম।একা একা ছাদে কিছুক্ষন বসে থাকার পর দেখি মেয়েটা ছাদে আসছে তার ছোট ভাইকে নিয়ে(তখনো জানতাম না ওটা ওর ছোট ভাই,পরে জ়ান্তে পারসিলাম)আমি দেখলাম মেয়েটা আমাকে ফলো করসে।আমিও তাকে দেখলাম।এভাবেই কেটে গেল বেশ কিছুদিন

তারপর ১দিন বিকেলে ছাদে যাওয়ার রাস্তাই সিরিতে থেকে লক্ষ করলাম মেয়েটা বেল্কনিতে দারাইয়া আছে।আমি সিরিতে দারাইয়া মেয়েটাকে কিসুক্ষন দেখলাম।আমার দিকেও মেয়েটা তাকেয়ে মজা করল।আমার মাথাই একটা বুদ্দি আসল।আমি মেয়েটাকে হাত দারা মোবাইল  কথা বলার মত সংকেত করে সাইন লেংগুইজ ব্যবহার করলাম।মেয়েটা কিছুক্ষন দারাইয়া কি যেনো ভাবলো এর মধ্যে আমি আবার মোবাইল  কথা বলার সাইন টি ব্যবহার করলাম।তখন মেয়েটাও আমার মত ইশারায় বলল কিভাবে পাঠাবো।আমি দৌরে রুমে গিয়ে খাতা হাতে এসে তাকে দেখালাম খাতার পাতা ছিরে মোবাইল নাম্বার লিখে নিচে ফেল্লাম।এবার বুঝতে পারল।নাম্বার লিখে নিচে ফেলল

এই যুগে প্রেম হলো মেসেস এর মাদ্দমে না, চিঠির মাদ্দমে।চিঠিতে যা লিখা ছিল তা হল্‌,......



আমার নাম রিনি।আমি ক্লাস- পড়ি।আমার ফোন নাম্বার(০১৭১...ভুলেই গেছিলাম ফোন নাম্বার দেয়া যাবে না এখন মনে হল তাই দিলাম না)আমার বাসায় বড় ভাই,মা,আমি আর ছোট ভাই আছে।বড় ভাইয়া আছে তাই ফোন দেয়া নিষেধ।মেসেজ দেয়া যাবে।
      
ম্যাসেজ দেওয়ার কথা থাকলেও নাম্বারটা পেয়ে মাথাই জ্ঞানই ছিল না কি করব।একবার ভাবি ফোন করি আবার ভাবি মেসেজ দেই।এভাবে ভাবতে ভাবতে মিসডকল দেই।তখন তখন  ব্যাক মিসকল পাই।তারপর ফোন করি।ফোন করার পর আমি শুধু হেল্লো বললাম তারপর কি বলব বুজতে পারলাম না।তখন অই পাশ থেকে আওয়াজ পেলাম) এবং একি সাথে পরপর কয়েকটি প্রশ্ন আসল। আপনার নাম কি? আপনি কি করেন?আপনার বাড়ি কোথায়?আমি বললাম আমার নাম নিজুম(বানানো নাম দিলাম)আমি গিট  পরি বিবিএ তে।আমার বাড়ি বগুড়া শহর থেকে একটু পশ্চিমে
তখন আমি বললাম তুমার নাম কি?

আমি তো চিঠিতেই লিখছি

রিনি

সরি।আচ্ছা তুমি কোন ক্লাসএ পরো?

ক্লাস ১০

তারপর আমি বললাম তুমি অন্নেক সুন্দর আমি তুমাকে.....................একচুয়ালি তুমি অনেক সুন্দর

 বলল,বেশি ফোন দেয়া যাবে না।আমার আম্মু বড় ভাই আছে আমার বিপদ হবে

প্রথমদিনের কাহিনি এইখানেই শেষ।তারপর ঠিক আগের মতই ছাদেই সুধু দেখা হয়।হাই হেলো।হাই হেলোটা চোখের মাদ্দমে হয়।এবং এসএমএস দেয়া হত

এভাবে এসএমএস আর ছাদে দেখা করে কি আর মন ভরে।গার্লফ্রেন্ড এর সাথে যদি দেখা না হয় পাশাপাশি বসা না হয়।বাট এটা কিভাবে করব

স্কুলে গিয়ে দেখা করব সাথে ওর আম্মু ওরে নিয়া যাই আবার নিয়া আসে।প্রাইভেট গুলাতেও নিয়া যাই নিয়া আসে

তারপর অন্নেক ভেবে যখন কিছুই করতে পারলাম না,তখন একদিন একটা সুযোগ আসল।আমাদের আর ওদের মাঝের বাসার আপু তার প্রয়োজনে আমাদের বাসাই আসলেন।তার সাথে আমি কথা বলে জমিয়ে ফেল্লাম।সে আমাকে তাদের বাসাই যেতে বল্লেন।তার এক ছোট ছেলে ওয়ানে পরে আর তার হাসবেন্ড নিয়ে তার সংসার।আমি তার বাসাই গিয়ে তাকে সব বললাম,সে হেল্প করতে চাইলো বাট একটা কন্ডিশন দিয়ে দিল।যে খুব বেশি দেখা করা যাবে না তার বাসাই।আমিতো এইটুকুতেই অনেক খুশি হইলাম।তারপর ওকে মেসেজ করে জানিয়ে দিলাম আমরা বিকেলে আপুর বাসাই দেখা করতে চাই

আমি বিকেলে যাওয়ার আগেই আপুর বাসাই গিয়ে আমাকে মেসেজ করল।আমি খুব দ্রুত ওই বাসাই গিয়ে বেল টিপ দিতেই আপু দরজা খুলে দিল।আপুকে বল্লাম,আমার জানুটা কই?

- রুমে

আমি রুমের ঢুকতেই এসে আমাকে জরিয়ে ধরলো।আমি আগে তেমন বুজতাম না প্রেম কি জিনিশ।বাট এখন বুঝতে পারলাম।আমাকে জরিয়ে ধরে বলতে লাগল

-আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি।জানিনা কি জন্য ভালবাসি।তবে সত্যি ভালবাসি।পাগলের মত ভালবাসি।তুমিও কি আমাকে এমন ভালবাস

-আমি ওর কথাগুলই রিপিড করলাম।অনেকটা ফিরিয়ে দেওয়ার মত

আমি বললাম,তোমার আম্মু,ভাইয়া জানে,তুমি এখানে আসছো?

-আমার তো ভাইয়া নেই।আম্মু জানে

তাহলে তুমি আমাকে যে বলছিলে তোমার বড় ভাইয়া আছে

-মিথ্যে বলছিলাম

দেখেন ভাই মেয়েরা কি রকম মিথ্যে বলেতো যাই হোক আমাদের মধ্যে এরোকম আরো অনেক কথা হল

বুঝেনই তো প্রেমিক-প্রেমিকার কথা

এভাবে বেশ কিছুদিন আপুর বাসাই দেখা করি,এর মধ্যে ফোনেও কথা বলি।আমি একটা মোবাইল কিনে দিয়েছি সেটা দিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলে।একদিন আপু জানিয়ে দিলেন,আমাদেরকে আর তাদের বাসাই দেখা করতে দিবেন না

অন্তরে অনেক কষ্ট পাইলাম বাট আপুকে কিছুই বলতে পারলাম না


আবার সেই আগের মত শুরু হল।শুধু ফোনে কথাটা যুক্ত হল।এভাবে কি আর প্রেম জমে।আমার অবস্থাটা হল অনেকটা বাংলা সিনেমা এর গানের মত

একদিন তোমাকে না দেখলে বড় কষ্ট হয়

সেই দিনটাই যেন আমার বন্ধু নষ্ট হয়

আমাদের মধ্যে ফোনে কথা হলেও চিঠি দেয়া নেয়া হত।অনেকটা মোবাইল আবিস্কার হওয়ার আগে যেভাবে মানুষ প্রেম করত ঠিক সেইরকম।ও ওদের ছাঁদ থেকে চিঠি ফেলত আর আমি নিচে থেকে কুড়িয়ে নিয়ে আস্তাম।তার মধ্যে থেকে -১টা চিঠি আপনাদেরকে বলতেছি,

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন