যাদের
মনে সুন্ধরী নারী দেখলে বদামির
চিন্তা আসে তাদের জন্য
আমার এই সত্যি কাহিনির
লেখা আর যাদের মনে
বদামী আসে না তারাও
পরবেন দয়া করে তাদের
মুখের এক কোনে হইতো
বা একটু হাসি আস্তে
পারে এবং অন্যদেরকে সচেতন
করতে পারবেন।আর
যদি পারেন শেয়ার করে
আপনার বন্ধুদের সচেতন করুন।
মাংনা
পাওয়া দই গামছা পাইতা
লই এই মনমানিষিকতা যে
কত্তটুকুন খারাপ তা আপনাদের
বলছি।
কাচা কাহিনী ভাই আপনাদের
কাছে যেটা বলছি গতকাল
রাতের আমার শোনামতে,এক
সুন্দরী মহিলা বয়স ২৫-৩০ হবে।তার চেহারাটা খুব্বি
সুন্ধর হাসিতে মুক্তা নয়
হিরা ঝরে ।আর
এইরকম সুন্ধর যে এইসকল
সুন্ধুরি দের মাইটা পরী
বলতেই হবে।কারন
তারা পরিদের মতই সুন্ধর
এবং পরিদের মতইইইইই আলোতে
হারাইয়া জায়।তার
হাসি দেখলে বাংলার বদ
পোলারা পাগল হইয়া যাইব
।সুধু বাংলার
না সারা দুনিয়ার।মোনালিছার কি হাসি তার
থেকেও সুন্ধর হাসি।
সে এক বস্তা বোজাই
করা কিছু মাল নিয়া
রাজশাহী থেকে ঢাকা জাওয়ার
জন্য বাসে উঠলেন।মালগুলো সামনে রেখে পিছনে
তার সিটে গিয়ে দেখেন
তার সিটের পাশে এক
বইড়া বেডা।সে
কিছুতেই বসতে চাচ্ছিল না।সে
কন্ট্রাক্ট্ররকে ডেকে বলল অন্য
সিটের ব্যবস্থা করার জন্য।কিন্তু কন্ট্রাক্ট্রর অপারগতা
প্রকাশ করল।তারপর
সে সেই সিটে বসল।কিছুক্ষন
পর বাস চলা শুরু
করার পর মাইটা পরী
দেখতে পারল তার সামনের
দিকে একি লাইনে ২টা
সিট খালি।সে
দুই সিটে একজন করে
হ্যান্ডসাম পোলা বসা।যেইডা একটু বেশি
হ্যান্ডসাম তার কাছে গিয়ে
বললেন,
-ভাইয়া
একটু বসা যাবে?
কেন আপনার সিটে কি
হইছে?
-না মানে আমার সিটে
বুড়ো মানুষতো যদি শরীরে হাত
দেয়।তাহলে
তো আসুবিধা।
আমি হাত দিলে অসুবিধা
নাই।
-না না না না
না না না না
না না না না
…………………………আপনি হাত দিলে এ
হতে পারে না মানে
আসুবিধা হতে পারে না।
এইরকম
কথা শুইন্যা পাশের অন্য হ্যান্ডসামের
মনে বিরাট দয়ার আগমন
ঘটলো।সে
দয়ায় পাগল হইয়া আর
থাকিতে না পারিয়া সে
বলিয়া উঠিলো,
ক্যাসক্যাস
বাদ দেন,আপনার যদি
কোন প্রব্লেম না হয় আমার
কাছে বসতে পারেন।আমার সিটটা খালি
পরে আছে।
মাইটা
পরী এই কথা শুনিয়া
বেশি হ্যান্ডসামকে বুরো আঙ্গুল দেখাইয়া,তারপর পাগল হইয়া
বলিয়া উঠিলো,
ও সিওর।কেন
প্রব্লেম হবে।বসতে
বসতে মাইটা পরী বলল,আমি আসলে এরকম
ভালো একটা সিটই খুচ্ছিলাম।যেখনে
আমার পাশে একজন ভালো
মানুষ বসা থাকবে।
বাস চলতেছে তারা ঢুলুঢুলু
কাপ্তেছিল আর তাদের এক
জনের অপরজনের সম্পর্ক কাছাকাছা আনার জন্য চেষ্টা
চলতেছিল।এভাবে
তারা অনেক কাছাকাছি আসার
পর,সম্পর্কটাকে আরো কাছাকাছি আনার
জন্য হ্যান্ডসামকে একটা প্রস্তাব করিল
মাইটা পরী,আচ্ছা আমরা
এত দূরে যাচ্ছি একসাথে
আমাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক
করে দাড় করিয়ে যেতে
পারলে আরো ভাল হয়
কি বলেন,
-হুম ঠিক বলেছেন।আসেন আমরা ভাইবনের
সম্পর্ক করে রাস্তা পারি
দেই।
না না কি বলেন।ভাই
বোনের সম্পর্ক তো অনেক দুরের।
-তাহলে?
তাহলে
আমরা স্বামি-স্ত্রী সম্পর্ক
করে গেলে কেমন হয়।
-হ্যা,খুবি ভালো হয়।আসলে
আমি এই কথাই বলতে
চাইছিলাম।কিন্তু
ভয়ে বলতে পারিনি যদি
আপনি কিছু মনে করেন।
না মনে করব।কি যে বলেন।আপনি
এত হ্যান্ডসাম।তারপরো
বলতে পারেন না।জানেন আমার হাজব্যান্ড
হ্যান্ডসাম না।ইশ
আমার হাজব্যান্ড যদি আপনার মত
হ্যান্ডসাম হত।
-অসুবিধা
নাই।আমিও
তো আপনার হাজব্যান্ড তাই
না।
হুম।অবশ্যই।
এভাবে
তাদের সুখ চলতেছিল।কিন্তু তাদের কপালে
সে সুখ বেশিক্ষন স্থায়ী
অইলো না।
‘অনেক্ষন
দইরা ভালা ভাশাই লেখতাছি
তাই এহন আমগরে ভাষাই
একটু লেহি’।
হেগরে
সুখ আর কপালে শইলো
না।যমুনা
ব্রিজের এইহানে আইসাপার পর
পলিশ হেগরে বাসে উইঠা
তালাশ কইরা একটা বস্তা
পাইলো।বস্তায়
ফেঞ্চিডিল দিয়া ভরা।পুলিশ জিগাইলো কনট্রাক্ট্রকে
এই ভালা জিনিশ গুলা
কিডা নিয়া আইছে।কনট্রাক্ট্রর মহিলার কথা কইল।তারপর
কন্ট্রাক্টেররে দিয়া ডাকাইয়া আনলো।মাইটা
পরি তারাতারি আসিয়া কহিল,এইগুলা
আমার না আমার জামাইয়ের।
আপনের
জামাই কোনডা।
মাইটা
পরী দেখাইয়া দিয়া বাস থেকে
নামিয়া আলোর সাথে মিলিয়া
গেল।তাহাকে
আর খুজিয়া পাওয়া গেল
না।
পলিশরা
হ্যান্ডসামকে কহিল,অই বেডিকি
আপনের বউ।
হ্যা,আমার বউ।
চল সালারপুত।তরে
তর হশুরবাড়ি নিয়া জামু।
এইভাবে
একটা দীর্ঘ উপন্যাসের জীবনিপাত
হল।
প্লিজ
ভাই আপ্নাগরে একটা কথা কই,যাদের লেওউরা পরা
স্বভাব আছে তাদের লেওউরা
ফালান বাদ দেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন